আইপিএলে অভিষেক ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৫৫.৮ কিলোমিটার বেগে বল করেছিলেন। গতকাল মায়াঙ্ক যাদব রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে করলেন ১৫৬.৭ কিলোমিটার বেগে। চলতি মৌসুমে আইপিএলে দ্রুততম বল এটিই। ঘণ্টায় ১৫৫.৮ কিলোমিটার বেগে করা ডেলিভারিটিও ছিল দ্রুততম বলের রেকর্ড। তবে গতকাল মায়াঙ্ক যাদব নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন।
চলতি মৌসুমে দ্রুততম বলের রেকর্ড ভাঙাগড়ার খেলায় নামা মায়াঙ্ক কিন্তু এখনো আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গতির রেকর্ড ছুঁতে পারেনি। তিনি আছেন সেই তালিকার ৪ নম্বরে। অবশ্য যেভাবে গতির ঝড় তুলছেন, সেটা ভেঙে ফেললেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। মায়াঙ্ক বলছেন, এটা মাত্র শুরু। গতকাল ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতার পর এই পেসার বলেছেন, ‘আমার লক্ষ্য হলো দেশের হয়ে যত বছর পারি ভালো করা। এটা কেবল শুরু, আমার মনোযোগ আমার প্রধান লক্ষ্যের দিকে।’
আইপিএলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতির বলটা করেছেন কে? অস্ট্রেলিয়ার শন টেইট, সেটা ১৩ বছর আগে ২০১১ মৌসুমে। সেই মৌসুমে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৫৭.৭ কিলোমিটার বেগে বল করেছিলেন। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন। তিনি টেইটকে প্রায় ছুঁয়েই ফেলেছিলেন। ২০২২ সালে গুজরাট টাইটানসের হয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ১৫৭.৩ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন ফার্গুসন।
পরের দ্রুততম বলটিও হয়েছে ২০২২ সালে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৫৭ কিলোমিটার গতিতে বল করেন ভারতের উমরান মালিক। ১৫৬.২ কিলোমিটার গতিতে তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন দিল্লির আনরিখ নর্কিয়া।
এমন গতির ঝড় তুলে আইপিএলে খেলা প্রথম দুই ম্যাচেই ম্যাচসেরা হয়েছেন মায়াঙ্ক। বল হাতে যেমন ঝড় তুলছেন, তেমনি নিজের উত্থানও হচ্ছে ঝড়ের মতো। গত ৩০ মার্চ আইপিএল অভিষেকে যাকে খুব বেশি মানুষ চিনতই না, সেই মায়াঙ্ক যাদব ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকবেন কি না, এই আলোচনাও হচ্ছে। মাত্রই শুরু করেছেন, বয়সও মাত্র ২১, শেষ পর্যন্ত হয়তো বিশ্বকাপ দলে থাকবেন না। কিন্তু মাত্র দুটি আইপিএল ম্যাচ খেলেই বিশ্বমঞ্চে খেলবেন কি না, সেই আলোচনা ওঠা মায়াঙ্কের জন্য এটাই–বা কম কিসে!
Publisher & Editor