ভারতের দিঘা, মন্দারমণি, কলকাতা, শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের সুবিধার্থে চালু হতে চলেছে ‘রেন্ট-আ-বাইক’। অর্থাৎ বাইক ভাড়া নিয়ে যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াতে পারবেন পর্যটকরা।
শুক্রবার সল্টলেকে বাইক ট্যাক্সির পারমিট বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানানা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, বেশ কিছু জায়গায় এ বাইক ভাড়া করে চালানোর বিষয়টি চালু রয়েছে। এবার এ রাজ্যের চালু হলো। উত্তরবঙ্গে কিছু চালু ছিল। এবার সেগুলোকেও আইনসিদ্ধ করা হচ্ছে। আলাদা পারমিট দেওয়া হবে। অনেকে চান কোথাও ঘুরতে গিয়ে নিজের মতো করে বাইক নিয়ে ঘুরতে। রেন্ট-আ-বাইক চালু হলে তাদের সুবিধা হবে।
জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের একটি সংস্থা ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। এবার কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রেও এই সুবিধা যাতে দেওয়া যায়, সে কারণেই রেন্ট আ বাইকের নতুন পারমিট দেওয়ার ব্যবস্থা করল পরিবহণ দপ্তর।
পাশাপাশি এদিন দেড় শতাধিক বাইক ট্যাক্সি চালকের হাতে বাণিজ্যিক গাড়ির পারমিট তুলে দেওয়া হয়। পরিবহন মন্ত্রী জানান, বাইক ট্যাক্সিচালকদের আইন মেনে গাড়ি চালাতে হবে। তাই বাণিজ্যিক নম্বর প্লেট মানে হলুদ নম্বর প্লেট দেওয়া শুরু হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে পৃথক পারমিট। প্রাইভেট নম্বর প্লেটের বাইক ভাড়া খাটানো বেআইনি। পারমিট, পাঁচ বছরের ট্যাক্স, রেজিস্ট্রেশন-সহ পুরো প্রক্রিয়া করতে একেকজন চালকের ৩৭৫০ টাকা খরচ পড়েছে। আবার পাঁচবছর পর ট্যাক্স দিতে হবে।
বাইক ট্যাক্সিচালকদেরই একাংশের অভিযোগ, হাওড়া, শিয়ালদহ, দমদম-সহ বিভিন্ন স্টেশনে নামা যাত্রীদের অনেকের সঙ্গে বড় ব্যাগ থাকে। সেই ব্যাগ নিয়েই বিপজ্জনকভাবে তারা বাইকে চড়ে যাত্রা করেন। যা থেকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায়। সরকার এক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম করলে ভালো হয়।
Publisher & Editor