স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, ‘মজলুম জননেতা’ খ্যাত মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো ১৭ নভেম্বর শুক্রবার। দিনটি স্মরণে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করে। ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয় টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানার মাজার প্রাঙ্গণে। তবে নিউইয়র্কে মওলানার নামে একাধিক সংগঠন থাকলেও এবছর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রে কোন কর্মসূচি লক্ষ্য করা যায়নি। এনিয়ে মওলানার ভক্তদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। প্রবাসীদের দাবি দেশে ও প্রবাসে মওলানা ভাসানীকে যথোপযুক্তভাবে মওলানাকে স্মরণ করা।
এদিকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৭টায় মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন- ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর মো. ফরহাদ হোসেন।
এরপর একে একে ভাসানীর পরিবার, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতালীগ, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, ন্যাপ ভাসানী, ভাসানী পরিষদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদান সহ সর্বস্তরের জনতা ভাসানীর মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ সময় ‘যুগ যুগ জিও তুমি- মওলানা ভাসানী’ স্লোগানে মাজার প্রাঙ্গণ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
বাদ জুম’আ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ক্যাম্পাসে অবস্থিত শাহ্ নাসির উদ্দিন বোগদাদী এতিমখানায় কোরআন খতম ও এতিমদের মাঝে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া ভাসানীর মাজারের অদূরে ঐতিহাসিক দরবার হল ও এর আশ-পাশের এলাকায় তিন দিনব্যাপী মেলা বসেছে।
উল্লেখ্য, আফ্রো-এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার মেহনতি মানুষের বুজুর্গ নেতা ও আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালের এইদিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। অন্তিম ইচ্ছায় তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে সমাহিত করা হয়।
Publisher & Editor