গাঁয়ের শেষে বনের ধারে থুত্থুড়ে এক বাড়ি
সেই বাড়িটা ঘিরেই আছে বট-পাকুড়ের সারি।
সেই বাড়িতে কেউ থাকে না, সেই বাড়িটা খালি
যে আছিল সেও মরেছে, বয়স্ক এক মালি।
কেউ থাকে না, এই কথাটা ঠিক না, আছে ত্রুটি
সেথায় থাকে ভূত ছখানা, স্কন্ধকাটা দুটি।
শাকচুন্নির নামটা নিতে যাচ্ছি কেন ভুলে?
আত্মীয় বা আপন বলে নেই কেউ দুই কুলে!
একটা কথা সম্ভবত নেই তোমাদের জানা
ভূতরা রাতে চক্ষে দেখে দিনের বেলায় কানা।
তাই লাগে না হ্যাজাক, কুপি, ইলেকট্রিকের বাতি
সইতে কি হয় লোডশেডিংয়ের বিচ্ছিরি বজ্জাতি?
মাসের শেষে হয় না দিতে তাই ভৌতিক বিলও
ভাবছ বুঝি ভূত হওয়াটাই অনেক ভালো ছিল?
যা খায় ওরা কাঁচাই খাবে, তাই লাগে না চুলো
কিচেন থেকে দেয় হটিয়ে হাঁড়ি-পাতিলগুলো।
খায় না ওরা ফ্রিজের খাবার, খায় না পচা বাসি
অম্বলে তাই কেউ ভোগে না, সুস্থ বারো মাসই।
কী খায় ওরা? টাটকা তাজা রক্ত চুষে-চেটে।
ভূত চলে না সোজা, চলে উল্টো পায়ে হেঁটে!
ইলিশ ওদের ভীষণ প্রিয়, ইলিশ যেদিন জোটে
সেদিন সকল ভূতের মুখে ভৌত হাসি ফোটে।
সেদিন ওদের পার্টি, করে নৃত্য ঘুরে ঘুরে
গাইতে থাকে আইটেম সং অনুনাসিক সুরে।
ভূতরা কি যায় ইশকুলে? ভূত অ আ ক খ পড়ে?
ভূত কী করে বংশ বাড়ায়? ভূত কি বিয়ে করে?
সেসব ব্যাপার বিস্তারিত বলব না আজ আমি
সব বলা যায়? ভূতসমাজে প্রাইভেসি খুব দামি!
ভাবছ বুঝি এসব কথা কেমন করে জানি?
কারণ আমি নইতো ভ্রাতা মানুষ নামের প্রাণী!
ওই বাড়িতেই থাকি আমি, নাম কী আমার? ভূতো!
ভয় পেয়েছ? অমন করে পালাচ্ছ কেন দ্রুত?
Publisher & Editor