বিভিন্ন কারণে শিশুর গলা ব্যথা হতে পারে। এসবের মধ্যে ইনফেকশন প্রধান। ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া উভয়টির মাধ্যমে ইনফেকশন হয়।
লক্ষণসমূহ
সর্দি, কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, গলা খুশ খুশ করা, সব সময় গলায় অস্বস্তিভাব, শরীরে ব্যথা, মাথা ব্যথা, গলা ফুলে যাওয়া, খাবারে অরুচি, খাবার গিলতে ব্যথা বেড়ে যাওয়া, গলা বা তালু বা জিহ্বা লাল হয়ে যাওয়া, মুখে ঘা হওয়া। যেহেতু গলা ব্যথার কারণে শিশুদের ক্ষেত্রে খাদ্যনালী বা টনশিল বা লিম্ফনোড ফুলে যাওয়া থেকেও হতে পারে বা অনেকক্ষেত্রে র্যাট্রোফেরিনাজিয়াল অ্যাবসেস এবং একটি কারণ হয়ে থাকে। তাই গলা ব্যথা যদি বেশি হয় বা বিশেষত শিশু যদি খেতে না পারে বা জ্বর ১০০ চার ডিগ্রি ফারেনহাইট হয় তাহলে বেশি দেরি না করে শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসা নেয়া উচিত। যেমনÑ রিউমেটিক জ্বর।
করণীয়
শিশু গলা ব্যথার কথা বললে প্রথমে নিজেই গলা পরীক্ষা করুন। মুখ পরিষ্কার রাখুন, প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করুন। কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে দিন। হালকা গরম খাবার দিন। গরম তরল খাবার বিশেষ করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার দিন। পানি শূন্যতা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে বাধ্য করুন। বাড়িতে অন্য বাচ্চা যেন একই সঙ্গে সংক্রমিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একই প্লেট বা গ্লাসে খাবার খাওয়া যাবে না। একই তোয়ালে দিয়ে মুখ মোছা বা এ ধরনের কাজগুলো করা যাবে না। বার বার হাত ধুতে হবে। চিকিৎসা শুরুর পরও শিশুর অনেক সময় উন্নতি নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে পুনরায় ডাক্তারের ফলোআপ জরুরি।
চিকিৎসা
রক্ত পরীক্ষা, কিছু ক্ষেত্রে গলার রস পরীক্ষা করা হয়। এরপর অ্যান্টিবায়োটিক এবং প্রয়োজন অনুপাতে ওষুধ অর্থাৎ জ্বর, গলা ব্যথা বা মুখের ঘায়ের জন্য প্রয়োজন মাফিক ওষুধ দেয়া হয়। সাধারণত সব বাবুই ভালো হয়ে যায়। কোনো কারণে ভালো হতে দেরি হলে বা অন্য সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
Publisher & Editor